
প্রকাশিত: Thu, Mar 16, 2023 5:10 PM আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 3:20 AM
জন্মদিনে আনন্দবাজারকে কবীর সুমন আমি বিছানায় এখনও সক্ষম
শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: বাংলা আধুনিক গান ও বাংলা খেয়ালের আলোচিত শিল্পী কবীর সুমন। বৃহস্পতিবার ছিল তার জন্মদিন। এদিন তিনি পঁচাত্তর বছরে পা রাখলেন। বিভিন্ন সময়ে নানান ইস্যু নিয়ে কথা বলেন প্রখ্যাত এই গায়ক। তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলে পুরো ভারতবর্ষেই। এবার জন্মদিনের আগেরদিনে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’-এ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন কবীর সুমন। ওই সাক্ষাৎকার থেকে আমাদের নতুন সময় পাঠকদের জন্য নির্বাচিত কিছু অংশ তুলে ধরা হলো। প্রশ্ন: টানা তিন ঘণ্টা রেকর্ডিং সেরে সাক্ষাৎকার দিতে বসলেন। এই বয়সে এখনও এই অফুরান এনার্জির রহস্যটা কী?
সুমন: কাম! মুক্ত কাম! যেখানে অশ্লীলতাই সব। বয়স হয়েছে। রাতে ভাল ঘুম হয় না। কিন্তু আমি বিছানায় চূড়ান্ত ভাবে সক্ষম। নারীরা আমাকে সমৃদ্ধ করেছেন। নতুন ধারণা আবিষ্কার করে প্রেম করাতেই আমার এনার্জি। আঁতলামি নয়, প্রেম করতে হবে শরীর দিয়ে, ভালবাসা দিয়ে এবং সম্মান দিয়ে। এ ছাড়া আমাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বিভিন্ন রাগ এবং খেয়াল আমাকে বাঁচিয়ে রাখে।
প্রশ্ন: আপনি তো কাজও কমিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ কোনও কারণ?
সুমন: আমি কমিয়ে দিইনি। প্রথমত, লোকে আমাকে চায় না। সহজ কথা, কোনও দিনই মানুষ আমাকে খুব একটা চায়নি। হেমন্তবাবু (মুখোপাধ্যায়) একবার আমাকে বলেছিলেন, “তনুবাবু (তরুণ মজুমদার) আমাকে ছাড়েন না! ক্রমাগত আমাকে দিয়ে কাজ করিয়েই ছাড়বেন। আমার আর ভাল লাগে না।” আমারও আর ভাল লাগে না।
প্রশ্ন: কোনও ক্ষোভ বা অভিযোগ থেকে বলছেন?
সুমন: আমার কারও প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই। আসলে বিনোদন শিল্পীদের একটা বয়সের পর আর কেউ চায় না। ব্যতিক্রম হলেন ডাক্তার এবং আইনজীবীরা। বহু বছর ধরে গান লিখছি, গাইছি। বুধবার আমার ৭৪ বছর পূর্ণ হল। সময়টা ১৯৬৭ সাল। সেই ১৮ বছর বয়স থেকে আকাশবাণী কলকাতায় রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইছি। তখন শ্যামল মিত্র, নির্মলা মিশ্ররাও ছিলেন। তাই আমি কালকের খোকা নই। কত ধানে কত চাল হয়, সেটা আমি খুব ভাল জানি। আমাকে কেউ পাত্তা দেয় না। আমিও পাত্তা দিই না। আমাকে ধরা মুশকিল!
প্রশ্ন: কিন্তু আপনি তো সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। গানও গেয়েছেন।
সুমন: করেছি। আরে, সকলে তো আমাকে আবার ডাকবেন না। ছবির নাম ‘মহাতীর্থ কালীঘাট’ হলে তো তাঁরা আমাকে ডাকবেন না! সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
